গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, সহিংসতার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখন পযর্ন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

মেহেরপুরের গাংনীতে নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান। তিনি জানান, সংর্ঘষে নিহত দুজনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। পরে গাংনী র্যাব-৬ হত্যায় অভিযুক্ত আতিয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন গাংনী র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি তারেক আজিজ বান্না। এর আগে উপজেলার ধলা গ্রামে মেম্বারপ্রার্থী দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। আহত হন প্রায় ২০ জন। নিহতরা হলেন ধলা গ্রামের জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলাম। নিহত দুজনই ইউপি মেম্বার আজমাইন হোসেন টুটুলের ভাই। নিহত সাহাদুলের স্ত্রী সূর্বণা জানান, গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য টুটুল সঙ্গে গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ধলা গ্রামের বাসিন্দা আতিয়ার রহমান পক্ষের বিরোধ দীর্ঘ দিনের। এবারের নির্বাচনে আতিয়ার হোসেন ও আজমাইন হোসেন একই ওয়ার্ডে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের প্রচার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চাঙ্গা দিয়ে উঠে। ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতেরদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক রাশিদুল ইসলাম শাওন জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। মুমূর্ষ অবস্থায় চার জনকে কুষ্টিয়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। বাকিদের এই হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।